চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কৌশলে নোমান হোসেন (১৬) নামের এক মাদরাসাছাত্রের ব্যাটারিচালিত ভ্যান ছিনিয়ে নিয়েছেন যাত্রীবেশী দুজন ব্যক্তি। উপার্জনের একমাত্র সম্বল ভ্যানটি হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন বাবা-ছেলে। রোববার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভা বাসস্ট্যান্ডের আব্দুল খালেক রাইস মিলের গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কিশোর নোমান হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের মুহাম্মাদ আব্দুল আলিমের ছেলে। কিশোর নোমান মাদরাসায় পড়ে। রমজান মাসে ছুটিতে বাড়িতে এসে রোজাদার বৃদ্ধ বাবাকে ভ্যান চালিয়ে সহযোগিতা করছিল। সেই সুবাদে আজও সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয় ছেলে নোমান।
ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনার বিবরণ দিয়ে নোমান বলে, আমি চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগারীতে ভাড়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। হঠাৎ দুইজন ব্যক্তি দর্শনা থেকে খেজুর আনবে বলে আমার সাথে ৩০০ টাকা ভাড়া ঠিক করেন। তবে দুজনের যাওয়ার কথা থাকলেও একজন যাননি, শুধুমাত্র একজনই আমার ভ্যানে ওঠেন। পরবর্তীতে দর্শনা হল্ট স্টেশন পার হওয়ার পর আরেকজন ওঠেন। এরপর আমাকে আব্দুল খালেক রাইস মিলের গলিতে নিয়ে ভ্যান রেখে খেজুর আনার জন্য ছিনতাইকারীদের একজন আমাকে সাথে নিয়ে যান। আমি ভ্যান রেখে খেজুর নেওয়ার উদ্দেশে তার সাথে গেলে হঠাৎ সেই ছিনতাইকারী বলেন- যাও ভ্যানটা নিয়ে আসো। আমি এসে দেখি ভ্যান নেই।
নোমানের বৃদ্ধ বাবা আব্দুল আলিম বলেন, সকালে গবাদিপশুর জন্য ঘাস কাটতে মাঠে যাই। ছেলে ভ্যান নিয়ে ভাড়ার জন্য চলে যায়। এখন শুনছি উপার্জনের একমাত্র সম্বল ভ্যানটি ছেলের কাছ থেকে কৌশলে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এখন আমি কীভাবে সংসার চালাব? ভ্যানটিই ছিল একমাত্র উপার্জনের সম্বল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহাদ আলী মল্লিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃদ্ধ আব্দুল আলিম ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। সকালে তার ছেলের কাছ থেকে কৌশলে দুজন ব্যক্তি ভ্যানটি ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুংখজনক।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম